July 27, 2024, 3:06 am
শিরোনাম:
বিরামপুরে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে গ্রামবাসী ও বাঁধ বিরামপুরে আমন ধানের ফসল বৃদ্ধিতে দো-গাছি চারা রোপণ আরম্ভ বিরামপুর খানপুর ইউনিয়নে তৃণমূল পর্যায়ে উন্মুক্ত ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পাবে সীমাখালীবাসি-এমপি বীরেন শিকদার মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন কমিঠির সভাপতি ইউনূচ ও সম্পাদক আশরাফ নির্বাচিত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে “সমুদ্র সমাজ সুশীল সংগঠনের”অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খেদাপাড়া বাবা বৈদ্যনাথ ধাম মন্দিরের যজ্ঞানুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য কচুরিপানায় খেয়া চলাচল বন্ধ দুর্ভোগে স্কুল ছাত্র ছাত্রী ও ৭ গ্রামের মানুষ রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তালতলীতে অটো গাড়ির চাপায় যুবক নিহত 

মণিরামপুরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ২ সপ্তাহেও মজুরি পাননি শ্রমিকেরা

Reporter Name
  • Update Time : Wednesday, January 24, 2024,
  • 52 Time View

মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ

যশোরের মনিরামপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের ৪০ দিনের কাজ দুই সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো শ্রমিকেরা মজুরি পাননি। নিয়ম অনুযায়ী ২০ দিনের কাজ শেষ হলে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের কথা। কিন্তু ৪০ দিন কাজ শেষ করেও শ্রমিকেরা টাকা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

মনিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১১ নভেম্বর কর্মসূচির মাটির কাজ শুরু হয়ে চলে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই মৌসুমে ৪০ দিন কাজ হয়েছে। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ৪৬ প্রকল্পে ১ হাজার ৯৫৬ জন শ্রমিক কাজে অংশ নেন। শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা। আর দলনেতাদের দৈনিক মজুরি ৪৫০ টাকা।

শ্রমিকেরা বলছেন, মজুরির টাকা দিয়ে টেনেটুনে সংসার চলে। আমন ধান কাটার মধ্যে মাটি কাটার কাজ চলছে। এ কারণে রাস্তার কাজ ফেলে আমরা অন্য কাজ করতে পারিনি। এখন কাজ শেষে টাকা দিচ্ছে না। চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে যাচ্ছি। কবে টাকা পাব তাঁরা বলতে পারেন না। আমরা খুব কষ্টে আছি।

উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শ্রমিক জীবন মণ্ডল বলেন, ‘কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। একটা টাকাও পাইনি। কর্মসূচি কাজের টাকায় মেয়ের লেখাপড়া; সংসার চলে। এখন বাজার করে খাওয়ার টাকা পর্যন্ত নেই। ধার দেনা করে কষ্টে দিন যাচ্ছে।’

রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইউনিয়নে কর্মসূচির শ্রমিক আছে ১৩৯ জন। কাজ চলা অবস্থায় ২০ দিনের বিল করে পিআইও অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে শেষের ২০ দিনের বিলও জমা দিয়েছি। কোনো শ্রমিক এখনো মজুরি পাননি। পিআইও অফিসে যোগাযোগ করে কাজ হচ্ছে না। শ্রমিকেরা এসে টাকার বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। তাঁদের সঠিক কিছু বলতে পারছি না।’

মনিরামপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০ দিনের বিল করে ঢাকায় অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। গত সপ্তাহে যোগাযোগ করেছি। চলতি সপ্তাহে শ্রমিকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার কথা ছিল। এখনো কেউ টাকা পায়নি।’

গোলাম সরোয়ার আরও বলেন, ‘এবার ৪০ দিন কাজ হয়েছে। চেয়ারম্যানরা শ্রমিকদের কাজের শেষের ২০ দিনের বিল জমা দিয়ে গেছেন। বিল দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হবে।’

৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের কাজের সভাপতি হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। শ্রমিকদের মজুরি না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০ দিনের বিল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখনো বরাদ্দ দেয়নি। আমরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category